ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার পশ্চিম কালুগাঁও গ্রামের সোলেমান আলী, আশির উদ্দীন, সিরজুল ইসলামসহ ৪ জন কৃষকের প্রায় ৪ একর বুরো ধানের ক্ষেতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আগাছা মারা বিষ প্রয়োগ করে ধানক্ষেত পুরোই পুড়ে দিয়েছে দুর্বত্তরা। গত বৃহস্পতিবার ৪ মে দিবাগত রাতে আগাছা মারা বিষ প্রয়োগে ধানক্ষেতে দুর্বত্তরা এ ঘটনা ঘটায়।
গত ৫ মে সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সূর্যের আলোর সাথে তাপমাত্রা যত বাড়তে থাকে ততই ধানক্ষেত ঝলসে গেয়ে পুড়ে যায় এবং সব ধান জ্বলে নষ্ট হয়ে গেছে সে ধানক্ষেত থেকে ফসল তুলার আর কোন সম্ভাবনা নেই বলে অনেকে ধারণা করেন।
খবর পেয়ে কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম ও রুমা আক্তার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আগাছা নাশক দিয়ে পুরো ৪ একর ধানক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে বলে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের নিশ্চিত করেন। এবং তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা রাণীশংকৈল থানায় একটি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এবং ভুক্তভোগী কৃষকেরা এর সঠিক বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন আগাছানাশক দিয়ে ধানক্ষেত ক্ষতির ব্যাপারে অজ্ঞাতনামায় কয়েকজনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পরদিন (৬ মে) ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন করি স্টিভ, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম ও রুমা আক্তার সরেজমিন পরিদশন করেন। এসময় ইউএনও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আইনগত সহায়তা প্রদানের আস্বাস দেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান কৃষি অফিস কৃর্তৃক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত: জানা যায় এ উপজেলায় অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এ রকম আগাছা নাশক প্রয়োগে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা বেশি ঘটে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি