প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরিতে গাফিলতির দায়ে পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) এ সংক্রান্ত নথিতে সই করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, পরিচালক প্রশিক্ষণ ড. উত্তম কুমার দাশ, পরিচালক প্রশাসন এস এম আনছারুজ্জামান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) পরিচালক শাহীনুর শাহীন খানকে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইএমডি বিভাগের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট অনুজ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বৃত্তি পরীক্ষার ফল তৈরিতে যাদের গাফিলতি ছিল, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। অপরাধের বিষয় বিবেচনা করে চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও একজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো অঘটন আর না ঘটে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সফটওয়্যারের জটিলতার কারণে ভুল হওয়ায় সার্বিক ফলে সমস্যা দেখা দেয়। এর পর সেই ফলাফল স্থগিত করা হয়। পরে ১ মার্চ সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় পূর্বের তালিকায় থাকা অনেকেই বাদ পড়ে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন