মৌলভীবাজারে হারানো মোবাইল খুঁজে বের করে দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন পুলিশের (এএসআই) মোঃ জহুরুল ইসলাম। জানা গেছে, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনূর রশিদ চৌধুরী এর দিক নির্দেশনায় জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হারানো মোবাইল উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের হাতে পৌঁছে দেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনূর রশিদ চৌধুরী ও হারানো মোবাইল খুঁজে বের করার দক্ষতার কারিগর এএসআই জহুরুল ইসলাম।
রীতি মতো এএসআই জহুরুল ইসলাম সাধারণ মানুষের কাছে অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। দ্বায়ীত্বে থাকাকালীন সময়ে কয়েক শতাধিক মোবাইল ফোন খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে হাফেজ, প্রিন্সিপাল, এনডিসি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, পৌর মেয়র, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী সহ অনেকের।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ছিনতাই ও হারানো মোবাইল ফোনের বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে পুলিশের এএসআই জহুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোবাইলের বাজার মূল্য তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মোবাইল খুঁজে বের করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ও চ্যালেঞ্জিং কাজ।
জহুরুল ইসলাম আরও জানান- হারানো অথবা ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের জন্য অনেকে থানায় জিডি করেন। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ রয়েছেন শ্রমিক, রিক্সা চালক ও ব্যবসায়ীসহ নানান পেশার মানুষ। তারা জিডি করে আশায় বসে থাকেন যে, পুলিশ অবশ্যই ফোনটি খুঁজে বের করে প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিবে। আর এই নির্ভরতার জায়গা থেকে জিডিমূলে আমিও গুরুত্বের সঙ্গে প্রকৃত মালিকের ফোন উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা করি। আমি মনে করি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক দামি জিনিস হারানোর চেয়ে মোবাইল হারানোর কষ্ট অনেকটাই বেদনাদায়ক বেশি।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি