গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া ঘুর্নিঝড় রেমালের তান্ডবে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হয়েছে লন্ডভন্ড। এখনও প্রতিটি জায়গায় রেখে যাওয়া রেমালের ধ্বংস চিহ্ন। স্বাবাভিক হতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো। মানুষ হারিয়েছে তাদের বাড়ি ঘর, ব্যবসায়িক ঘের,পশুপাখি। জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে চিংড়ি মাছের ঘের।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে খুলনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েতের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রম কর্মসুচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার কর্মসুচি গ্রহন করেন। পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে খেয়াঘাটের পাশে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি মেরামতের কাজ শুরু করেন। সকাল এগারো টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এই কর্মসুচি চলে। প্রায় আট থেকে নয়শ ফুট বাঁধ সংস্কার করেন। খুলনা জেলা যুবদল সহ পার্শ্ববর্তী সকল থানা থেকে যুবদলের অসংখ্য নেতাকর্মী এই কাজে অংশ নেন। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েত এই বাঁধ মেরামত কাজের নেতৃত্ব দেন।
উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, খুলনা জেলা যুবদলের সিঃসহসভাপতি আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবির আলী, মাসকুর রহমান ফ্রান্স, জাহিদুর রহমান শোভন, সন্জিব, কিমিয়া শাহদাত, পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তহিদুজ্জামান মুকুল, সদস্য সচিব ইমরান সরদার, পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক জি এম রুস্তম সদস্য সচিব জিএম আনোয়ারুল ইসলাম, ফয়সাল রাশেদ সনি, রাসেল রাজা, বিল্লাল মীর, আমিনুর রহমান, আয়ুব আলী, আশরাফুল।
এছাড়াও বাঁধ মেরামতে অংশ নেন দিঘলিয়া, তেরখাদা, রুপসা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, কয়রা সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার যুবদলের অসংখ্য নেতাকর্মী। বাঁধ মেরামত শেষে এলাকর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে দুপুরের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। এলাকার সাধারণ মানুষ ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করায় এবাদুল হক রুবায়েদ সহ খুলনা থেকে আসা সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আজ ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৩৫ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি