খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই। দেশে কখনও কোন দুর্ভিক্ষ হবেনা। কারন স্বাধীনতার পর বর্তমানে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ খাদ্যের মজুদ রয়েছে।বাংলাদেশে ১০ লক্ষ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ খাকলেই যথেষ্ঠ। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মজুদ ২১ লক্ষ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর মজুদের এই রেকর্ড সর্বোচ্চ। কর্মসূচীর আওতায় বিতরন পরিস্থিতিও ঠিক একইরুপ।
খাদ্যমন্ত্রী রবিবার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির বিভিন্ন দোকান পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন। এ সময় রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক পাটোয়ারি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবিরসহ খাদ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বৃন্দ এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কিছুদিন আগেই দেশে মানুষের ঘরে ঘরে আমন ধান উঠেছে। ওএমএস কর্মসূচী চালু রাখার সময় এটা নয়। দেশের নিম্নআয়ের মানুষ যাতে খাদ্যে কষ্ট না পান সে লক্ষেই সরকার দেশে এই কর্মসূচী চালু রেখেছে। এই কর্মসূচীতে সারাদেশে দুই হাজার ৫শ ৫০ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৪ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিকটন চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারন মানুষের যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তাহলে ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এই কর্মসূচীকে আরও জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যতদিন পর্যন্তু মানুষ ওএমএস-এর চাল আটা আর চাইবেনা ততদিন সরকার এই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। আমরা শুধু গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করবো ওএমএস ডিলাররা কোন অনিয়ম করছে কিনা, কোন স্মাগলিং করছে কিনা, সাধারন ক্রেতারা ঠিকমত খাদ্য ক্রয় করতে পারছেন কিনা, ওজনে কম দেয়া হচ্ছে কিনা এবং নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি রয়েছে। এ বিষয়ে কোন অনিয়ম দেখা গেলে সাথে সাথে ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি বলেছেন, সরকার আগামী ১লা মার্চ থেকে পুনরায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী চালু করা হচ্ছে। এই কর্মসূচীর আওতায় দেশের ৫০ লক্ষ পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা করে মাসে ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রমও চালু থাকবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, কৃষি ও কৃষকদের কল্যানে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, যার ফলে বাংলাদেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। বিগত আমন মওসুমে ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন হয়েছে। সার বীজ কীটনাশক সহজলভ্য হওয়ায় আগামী বোরো মওসুমেও বোরো’র বাম্পার ফলন হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওএমএস কর্মসূচীতে যে চাল ও আটা দেয়া হচ্ছে সেগুলো উন্নতমানের সম্পূর্ন খাওয়ার উপযোগি। বিশেষ করে বাজারের প্যাকেট আটার থেকেও ওএমএস কর্মসূচীতে দেয়া আটা বেশী পরিস্কার এবং প্রোটিনযুক্ত। তারপরও কিছু মানুষ অভিযোগ করে বলছেন ওএমএস-এর আটা ও চাল নিম্নমানের পচা। খাওয়ার উপযোগি নয়। আবার তারাই আবার বলছে ওএমএস-এর খাদ্য সামগ্রী স্মাগলিং হচ্ছে।
তিনি এসব গুজব রটনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন এসব খাদ্য সামগ্রী যদি নিম্নমানের হয়, পচা হয়, তাহলে সেগুলো আবার স্মাগলিং হয় কিভাবে???
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান