তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৮ দিন পরে নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শতশত মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। অনুসন্ধান কাজে সহায়তাকারী কুকুর ও থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের এখানে মৃতের সংখ্যা ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পকে ছাড়িয়ে গিয়ে ৩১৬৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে থাকা সিরিয়ায় দেশটির বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ও সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে মৃতের সংখ্যা ৫৭১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোতে জাতিসংঘের সহায়তা ইউনিটের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে আসছে। এখন আশ্রয় ও খাবার সরবরাহে জোর দেওয়া হচ্ছে।
তুরস্কের নগরায়ন মন্ত্রী মুরাত কুরুমের তথ্যমতে, মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে প্রায় ৪২ হাজার ভবন ধসে পড়েছে অথবা জরুরি ভিত্তিতে ভেঙে ফেলতে হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাবারের প্রয়োজন।
✪ আরও পড়ুন: “ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করা গেলে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রয়ারি) সকালে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। তার পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। এতে গুঁড়িয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার হাসপাতাল, স্কুল ও অ্যাপার্টমেন্ট ভবন। এতে গৃহহীন হয়ে পড়ে দেশ দুটির লাখ লাখ মানুষ। সিরিয়া-তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ১৯৩৯ সালের পর এটি তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।
সুত্রঃ সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান