বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন তোলার পরদিনই উন্নয়ন বরাদ্দের তথ্য প্রকাশ করলেন সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক। বুধবার (৮ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফাইড আইডি থেকে এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল তিনি ফেসবকু স্ট্যাটাসে অনুদানের তথ্য জানিয়ে লেখেন, ‘সুখবর, মাধবপুর-চুনারুঘাট বাসীর জন্য। ২ লক্ষ ১১ হাজার টাকা ঐচ্ছিক অনুদানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার সংসদে সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তার দাবি, ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সংসদ সদস্যদের ভাতা, বরাদ্দ জানিয়ে দিচ্ছেন। যার মাধ্যমে অন্য সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে জনগণের কাছে।
এরপর গতকাল বুধবার চুন্নুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুমন বলেছেন, আমি মনে করি এটা (সংসদ সদস্যের বেতন) লুকানোর কিছু নেই, এটা বললে স্বচ্ছতা হয়।
আমি জনগণের জন্য কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছি, সেটি জানিয়েছি। আমি মনে করি এটা জানার অধিকার তাদের আছে। আমরা তো এই টাকার মালিক না, আমরা ট্রাস্টি। যেমন ব্যাংক জনগণের টাকার ট্রাস্টি, তারা মানুষের টাকা রাখে এবং সময় মতো ফেরত দেয় আমারাও তেমনি।
তিনি আরও বলেন, আমি তো কোনো কথা মিথ্যা বলিনি। আমি তো চুরি করবো না, তাহলে লুকাবো কেন?
তিনি বলেন, আমি স্বচ্ছতার জন্যে বলেছি, আমি কত কত টাকা পেয়েছি। কিন্তু এটা চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সাহেব আমাদের মাননীয় স্পিকারের কাছে নালিশ দিলেন।
সুমন আরও বলেন, আমি সংসদে উত্তর দেয়ার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, চুন্নু সাহেব বিরোধিতা করবেন সরকারী দলের কিন্তু সেখানে তিনি বিরোধিতা শুরু করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। ওনার তো খুশি হওয়ার কথা, যে আমরা আমাদের হিসাব দেয়া শুরু করেছি। তিনি বলেন, আমার খারাপ লাগছে, তার এলাকার মানুষের জন্যে। তাদের কি জানার অধিকার নেই, চুন্নু সাহেব এমপি হিসেবে কত টাকা পাচ্ছেন?
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম