প্রথম ইনিংসে দলকে খাদের কিনারা থেকে রক্ষা করেছিলেন দুজন। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জুটি এবারও ভোগালো বাংলাদেশকে। এই দুই লংকান ব্যাটারের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম টেস্টের চালকের আসনে শ্রীলংকাই। সিলেটে তৃতীয় দিনের চা বিরতিতে যাওয়ার আগে লংকানদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৩০ রান।
লাঞ্চের আগেই বিশাল লিড নিয়ে ম্যাচে এগিয়ে ছিল শ্রীলংকা। দ্বিতীয় সেশনেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দাপটের সাথে খেলে দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডি সিলভা। অবশ্য দুইবার জীবনও পেয়েছেন তিনি। ক্যাচ ড্রপের সাথে যোগ হয়েছে নিশ্চিত আউটে লিটনের আপিল না করাও।
ডি সিলভা অবশ্য সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০৮ রানের মাথায় মেহেদি মিরাজের বলে জাকিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ডি সিলভা ফিরলে ভাঙ্গে ১৭৩ রানের জুটি। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ১৫০ রানের বেশি জুটি গড়লেন এই দুই ব্যাটার। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটল তৃতীয়বার।
ডি সিলভা ফিরলেও ক্রিজে অবিচল আছেন মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও পেয়েছেন তিন অংকের দেখা। চা বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো একই জুটি দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা পেল। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার দুই চ্যাপেল ভাই ও পাকিস্তানের আজহার-মিসবাহ জুটি দুই ইনিংসে একইসাথে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে শ্রীলংকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৩৮ রান, লিড দাঁড়িয়েছে ৪৩০ এ। এখনো অবশ্য ইনিংস ঘোষণা করেনি লংকানরা। মেন্ডিস অপরাজিত আছেন ১০০ রানে, সাথে আছেন ১৩ রান করা জয়সুরিয়া।
তৃতীয় দিনের শুরুটা অবশ্যই ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ৪ রান করা ফার্নান্দোকে ফিরিয়েছিলেন খালেদ। তবে এরপর শুধুই হতাশার গল্প বাংলাদেশের জন্য। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ডি সিলভা-মেন্ডিস জুটি। গতকাল অপরাজিত থাকা ডি সিলভা কামিন্দু মেন্ডিসকে নিয়ে গড়ে তোলেন দারুণ এক জুটি।
ডি সিলভা-মেন্ডিস জুটিতে রানও এসেছে দ্রুত গতিতেই। লাঞ্চের আগে দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৮ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ইনিংসে ডি সিলা অপরাজিত আছেন ৮৫ রানে। কামিন্দু মেন্ডিস ক্রিজে আছেন ৫ চারে সাজানো ৫০ রানের ইনিংস খেলে।
এই দুই ব্যাটারের জুটি পেরিয়েছেন শতরান, ১৪৫ বলে ১০৭ রান যোগ করেছেন দুজন। বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে খালেদ ছাড়া আর কেউই উইকেটের দেখা পাননি। উইকেট পাওয়ার মতো সম্ভাবনাও জাগেনি প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই। শতরানের এই জুটিতেই শ্রীলংকার লিড ৩০০ পেরিয়েছে লাঞ্চের আগেই।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম