দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ২৯৮ আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন আইনজীবী, যারা দ্বাদশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচিত আইনজীবীরা হলেন- ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ, অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল, অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট সেলিম মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এবং অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী: রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আবার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৩২ ভোট। ৯ হাজার ১৬ ভোট পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নুর আলম মিয়া। এ আসনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৪ জন। এরমধ্যে বৈধ ভোট ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৬।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম-এ ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। শিরীন শারমিন চৌধুরী একজন কমনওয়েলথ স্কলার। ২০০০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে পিএইচডি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো সংবিধানিক আইন ও মানবাধিকার।
এলএলএম পাশ করার পর তিনি ১৯৯২ সালেই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে তার ১৫ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাঁচ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
আনিসুল হক: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন।
শ. ম রেজাউল করিম: পিরোজপুর-১ আসনে আবারও বিজয়ী হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৪১০। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) সাবেক এমপি ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট।
এ কে এম এ আউয়াল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করেছেন। পিরোজপুর-১ আসন পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা নিয়ে গঠিত।
নুরুল ইসলাম সুজন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ আসনে নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। পাঁচ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৩৫টি ভোট পেয়েছেন।
উম্মে কুলসুম স্মৃতি: সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি ৫৭ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুল হক সরকার (ঈগল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ ভোট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী: চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার সানজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।
এই আসনে মোট ভোটার চার লাখ নয় হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১১ হাজার ৭৩৮ জন, নীরী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আটজন। এই আসনে ১৪২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লব হাসান পলাশ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এ কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়েছে। রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ রোববার রাতে কন্ট্রোল রুম থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন: নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) সংসদীয় আসনে টানা চতুর্থ বারের মতো জয় লাভ করেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগলকে হারিয়ে ৮ হাজার ৬৮২ ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) নাটোরের রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৮টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক পেয়েছে ৪৩ হাজার ৬৫৯টি ভোট।
ড. দীপু মনি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছে ডা. দীপু মনি। রোববার রাতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চাঁদপুরের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৭ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের ডা. দীপু মনি (নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া (ঈগল) ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট, জাকের পার্টির মো. কাওছার মোল্লা (গোলাপ ফুল) ১ হাজার ৪৩৭ ভোট, মো. রেদওয়ান খান (ট্রাক) ১ হাজার ২৩৪ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. মহসীন খান (লাঙ্গল) ৮২৮ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দিন (মোমবাতি) ৭৩৩ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. মিজানুর রহমান (ফুলের মালা) ৩৪৩ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমঝোতা ও দ্বন্দ্ব নিরসনের ওপর পড়াশোনা করেন ড. দীপু মনি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও আইন পেশায় নিয়মিত নন তিনি।
শামসুল হক টুকু: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাথিয়া-বেড়া) আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ১২৫ কেন্দ্রের সব ফলাফল ঘোষণা করার পর দেখা যায়, জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
জাহাঙ্গীর কবির নানক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৭৫টি।
আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী: হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩।
মোট ৪৪ হাজার ৩৪৯ ভোটের ব্যবধানে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন কেয়া চৌধুরী। ফলাফল ঘোষণার পরপর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল করেছে কেয়া চৌধুরী সমর্থকেরা।
মো. আবু জাহির: হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এমএ মুমিন চৌধুরী বুলবুল পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬ ভোট।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন: হবিগঞ্জ–৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ব্যারিস্টার সুমন এক লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন ২০২১ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে বহিষ্কার হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি দিয়ে তিনি নেটিজেনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
ড. সেলিম মাহমুদ: চাঁদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ড. সেলিম মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ১০৯ ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ লাখ ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট।
নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন: লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৬টি। ১৪৬টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ২৮ ভোট।
আবুল কালাম আজাদ: নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।
ড. সেলিম মাহমুদ: চাঁদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ড. সেলিম মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ১০৯ ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ লাখ ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ার প্রতীকের মো. সেলিম প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৪ ভোট।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)।
তিনি ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৬২৪টি। এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৭০ ভোট।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম