লালমনিরহাটে বিএনপির ডাকা হরতালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন নামের শ্রমিক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত শ্রমিকলীগ নেতা জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার আজিজার রহমানের পুত্র।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও জেলার কয়েকটি স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে দুই দলের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
ওইদিন সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে দশটার দিকে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এর প্রেক্ষিতে আদিতমারীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতাল বিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়।
এসময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে সকাল এগারোটার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়। এসময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একই সময় সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়। এ সময় সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সদর উপজেলা লোড- আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সম্পাদক রাজু ও আওয়ামীলীগ নেতা বাবলু মিয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এর আগে মিশন মোড় এলাকায় পুলিশের দুইটি মটরসাইকেল সহ ৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর চালিয়েছে বিএনপি সমর্থকরা।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৩৬ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি