প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আর লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। কিন্তু এতো অত্যাচার করেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তারা দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগকে কেউ নিঃশেষ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চিন্তা-চেতনা নিয়ে এগিয়ে গেছে। যে দল মাটি ও মানুষ থেকে গড়ে ওঠে, তাকে উপড়ে ফেলা যায় না।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, বিএনপির তো কোনো শেকড় নেই। তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে তৈরি। কাজেই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থাও নেই। এর ফলে তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, শুধু মানুষের ওপর অত্যাচার করে। জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ, এরপর খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকেও কিন্তু জনগণের ভোট চুরির অপরাধে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিল। এটা বোধ হয় বিএনপির নেতারা ভুলেই গেছে। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আর লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের সংবিধানে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সংবিধান আংশিক সংশোধন করে নিয়ে মার্শাল অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যারা যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, তাদেরকেও জিয়াউর রহমান মুক্তি দিয়েছিল। এরপর তাদের দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করায়। এমনকি সাত খুনের আসামিকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন