চলতি বছরে প্রাথমিকে শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৭ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের আট বিভাগে আলাদাভাবে তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে আলাদাভাবে লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগস্টে হতে পারে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এসব বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ।
দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ তিন বিভাগে আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল প্রকাশের আগে আরও কিছু শিক্ষক পদে শূন্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে সারাদেশের মোট ৭ হাজার শূন্যপদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, দেশের ছয় বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ ও দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি আবেদন জমা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে অবশেষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের তিন পার্বত্য জেলা (বান্দরবন, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি) ছাড়া অন্যান্য জেলার আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৪ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবেদনকারীকে পরীক্ষার ফি বাবদ যেকোনো টেলিটক নম্বর থেকে ২২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবদেনকারীর বয়স ২০২৩ সালের ৮ জুলাই ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ২১ থেকে ৩০ বছর হতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স উল্লিখিত তারিখে ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ২১-৩২ বছর হতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসরণ করা হবে।
সম্প্রতি সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৫৮। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩৪। অর্থাৎ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গড়ে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য রয়েছেন একজন করে শিক্ষক।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন