শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে তিন ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ। এর আগে এই অবস্থান ছিল ১০৪তম। সম্প্রতি বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই সূচক তৈরি করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
হ্যানলি পাসপোর্ট সূচক-২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১০১তম স্থানে রয়েছে লিবিয়া ও কসোভো। বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ১০৩তম, পাকিস্তান ১০৬তম ও আফগানিস্তান ১০৯তম, ভুটানের অবস্থান ৯০তম। এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সূচকে ৬১তম অবস্থানে থাকা দেশটির নাগরিকরা ৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ ছাড়া সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৮৫তম। দেশটির নাগরিকরা বিশ্বের ৫৯টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। একইসঙ্গে সূচকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত ইরান ৯৯তম, অর্থনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত লেবানন ও শ্রীলঙ্কা এবং সংঘাতে জর্জরিত সুদান যৌথভাবে ১০০তম অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে সূচকে গত বছরের মতো এবারও শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জাপান। দেশটির নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ১৯৩টি গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন। এরপর যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করতে পারেন। এ ছাড় যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি ও স্পেন। এই দুই দেশের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন।
আর সূচকের একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। দেশটির অবস্থান ১০৯তম। এ ছাড়া ইরাক ১০৮তম, সিরিয়া ১০৭তম ও ইয়েমেন ১০৫তম অবস্থানে রয়েছে।
গেলো ১৮ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী, তা নিয়ে র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’। পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই সূচক তৈরি করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান