কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিনের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নিজ দলের নেতাকর্মীরা এ হামলায় জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার বিকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সমভুরদিয়া বাজারের এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাতে এ ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সভাপতি সোহেল রানা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- দাউদকান্দির গৌরীপুর পেন্নাই এলাকার আ. গাফফারের ছেলে ইয়াকুব (৩৪), দৌলতপুর গ্রামের চৌদলীপাড়া এলাকার সালাউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ইমরান (৩২), একই এলাকার আল আমিন (৩১), মারুফ (৩২), আশরাফুল (২৯), এনামুল (২৫), বাউরিয়া এলাকার সুজন (৩১) এবং পালের বাজার এলাকার মহসিনসহ (৩৪) অজ্ঞাত ২০-২৫ জন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত শনিবার কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম রুহুল আমিন দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী নিয়ে দাউদকান্দির রফারদিয়া এলাকায় কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির নেওয়াজ সোহেলের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ফেরার পথে সমভুরদিয়া বাজার এলাকায় এলে এজাহারনামীয় ৮ জনসহ ২০-২৫ জন তাদের গাড়ির গতিরোধ করে জনৈক বশির মিয়াজিকে খোঁজ করে। দুর্বৃত্তরা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম রুহুল আমিনের গাড়িতে বশির মিয়াজি রয়েছে মনে করে হকিস্টিক, গ্যাস পাইপ, লাঠিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
এ সময় ২-৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। গাড়ি ভাঙচুর করার সময় সোহেল রানা (মামলার বাদী) বাধা দিতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা হুমকি-ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
হামলাকারী সবাই দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরীর লোক। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তারা এ হামলা চালায় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
রোববার দুপুরে মামলার বাদী সোহেল রানা বলেন, মাসখানেক আগে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বশির মিয়াজির সঙ্গে মঈন উদ্দিন চৌধুরীর (নির্বাচিত চেয়ারম্যান) বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জের ধরে বশির মিয়াজির ওপর হামলা করতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা মামলা করেছি। আইনানুযায়ী তাদের বিচার হবে পাশাপাশি দাউদকান্দি আসনের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া আজ এলাকায় এসেছেন। তিনি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম রুহুল আমিন বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন তাদের বিচার করবে, পাশাপাশি সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যারা হামলা করেছে তারা আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ইউপি নির্বাচনের সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। শনিবারের ঘটনার সময় তারা রুহুল আমিন ভাইকে চিনতে পারেনি, তাই তারা এমনটা ঘটিয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। রুহুল আমিন ভাই একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তার ওপর হামলা করাটা তাদের উচিত হয়নি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান