দেশে এখন ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইন্টারনেট সেবা ব্যয়বহুল বলে এর ব্যবহার অনেকটাই কম। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের থেকে এগিয়ে আছেন। পুরুষদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ ৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২২–এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৫২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় স্মার্টফোন ব্যবহারের হার সর্বোচ্চ ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগে সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ এবং বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, মোট জনসংখ্যার মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ। মোবাইল ফোনের ব্যবহারের হারও একই সময়ের মধ্যে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৯ দশমিক ৯ শতাংশ৷ এর মধ্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনুপাতও বেড়েছে৷
দেশের ৬৩ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে ইন্টারনেটের কোনো প্রয়োজন নেই। যার মধ্যে গ্রামের ৬৪ শতাংশের বেশি এবং শহরের ৫৮ শতাংশ মানুষ রয়েছে। ইন্টারনেট সেবাকে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ব্যয়বহুল মনে করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত একটি সমীক্ষা
পরিবারভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী বিবিএস জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে মুঠোফোন ব্যবহার হয়। এ ছাড়া পরিবারে স্মার্টফোন ব্যবহারের পরিমাণ ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। ল্যান্ডফোন ব্যবহার অনেক কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশের মানুষ। পরিবারে কম্পিউটার ব্যবহারের পরিমাণ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
ইন্টারনেট ব্যবহার হয় ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ পরিবারে। ইন্টারনেট ব্যবহারের বাধা হিসেবে যে তথ্য দিয়েছে বিবিএস তাতে দেখা যায়, দেশের ৬৩ শতাংশের বেশি মানুষ মনে করে ইন্টারনেটের কোনো প্রয়োজন নেই। যার মধ্যে গ্রামের ৬৪ শতাংশের বেশি এবং শহরের ৫৮ শতাংশ মানুষ রয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাকে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ব্যয়বহুল মনে করে। এ ছাড়া প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহারের জন্য যেসব উপকরণ দরকার, সেটাও ব্যয়বহুল।