প্রিয় পোষা কুকুর ‘কমান্ডার’কে নিয়ে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কুকুর।
জানা গেছে, কমান্ডারের কামড়ে এক ভুক্তভোগীকে হাসপাতালেও যেতে হয়েছে।
২০২১ সালে ছোট্ট কমান্ডারকে হোয়াইট হাউজে আনেন বাইডেন। জার্মান শেফার্ড কুকুরটির বয়স প্রায় দুই বছর। বাইডেনের ভীষণ প্রিয় কমান্ডার। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, গত কয়েক মাসে অন্তত ১০ জনকে কামড়েছে কুকুরটি। এই পরিস্থিতিতে কমান্ডারের আচরণ সংশোধনে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজে কমান্ডারের কামড় খেয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসের এক সদস্যও। ওই সময় ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন পোষা কুকুরটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। সিক্রেট সার্ভিসের একজন সদস্যের পাঠানো ই-মেইলের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
জিল বাইডেনের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অনেক সময় হোয়াইট হাউজের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পোষা প্রাণীগুলোর সমস্যা হয়। এখানকার চাপ তারা নিতে পারে না। তখন কিছুটা খ্যাপাটে আচরণ করে। এই পরিস্থিতিতে পোষা কুকুরটিকে প্রশিক্ষণ দিতে কর্মী প্রস্তুত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবার জন্য আরও ভালো করার উপায় নিয়ে কাজ করছে বাইডেন পরিবার। এ ছাড়া কমান্ডারের চলাফেরা, দৌড়ানোর জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাইডেন দম্পতি যখন হোয়াইট হাউজে বসতি গড়েন, তখন সঙ্গে এনেছিলেন পোষা কুকুর মেজর ও চ্যাম্পকে। কিন্তু কুকুর দুটি হোয়াইট হাউজের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। হোয়াইট হাউজে এত এত মানুষ ও প্রটোকলের বেড়াজালে মেজরের তো মেজাজই বিগড়ে যায়। একদিন কামড়ে দেয় এক কর্মীকে। মেজরকে নিয়ে বিপাকে পড়েন জো আর জিল বাইডেন। পরে কুকুর দুটিকে ডেলাওয়ারে বাইডেনের বাড়িতে পাঠানো হয়। ব্যবস্থা করা হয় প্রশিক্ষণের। পরে হোয়াইট হাউজে ফিরে আবারও একই আচরণ করে মেজর। অন্যদিকে ২০২১ সালের জুনে মারা যান জো আর জিল বাইডেনের প্রিয় কুকুর চ্যাম্প। এরপর হোয়াইট হাউজে আনা হয় কমান্ডারকে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি