বর্ষাকাল বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টির পানি আর আর্দ্রতা ছত্রাকের সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেয়। এতে ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। তাই বর্ষার মৌসুমে স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর ত্বক বজায় রাখার জন্য সঠিক স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেই বর্ষাকালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সঠিক নিয়ম:
ত্বক পরিষ্কার এবং টোনিং
অতিরিক্ত তেল অপসারণের জন্য বর্ষাকালে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার করুন। যা ত্বকের ছিদ্রগুলোকে আটকে দিতে পারে। ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ রাখতে দিনে দুইবার পিএইচযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ছিদ্রগুলোর উপস্থিতি কমাতে স্কিনকেয়ার রুটিনে টোনার অন্তর্ভুক্ত করুন।
হাইড্রেশন
যদিও বর্ষাকালে বাতাসে বেশি আর্দ্রতা থাকে। তবুও ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যা আপনার ত্বককে তৈলাক্ত না রেখে হাইড্রেট করবে। আপনার ত্বককে কোমল এবং পুষ্ট রাখতে সাহায্য রাখবে। বিশেষ করে, যেসব ময়েশ্চারাইজার আর্দ্রতা ধরে রাখে। যেমন- হায়ালুরোনিক অ্যাসিড। খুব শুষ্ক এবং ডিহাইড্রেটেড ত্বকের জন্য এটি বেশ উপকারি।
সানস্ক্রিনের ব্যবহার
সানস্ক্রিন লাগাতে কখনোই ভুলবেন না। এমনকি মেঘলা দিনগুলোতেও। সূর্যের ইউভি রশ্মি মেঘে প্রবেশ করতে পারে। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করতে, বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। দীর্ঘ সময়ের জন্য রোদে থাকলে প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ
বর্ষাকালে ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয়। যার ফলে ব্রণের আশংকা বেড়ে যায়। তৈলাক্ততা এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে একবার ফেস মাস্ক প্রয়োগ করুন। বিশেষ করে, মূলতানি মাটি বা চন্দন পাউডার ব্যবহার করুন।
হাইড্রেটেড থাকা
স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বর্ষাকালে এটি আরও বেশি জরুরি। হাইড্রেটেড থাকার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এতে ত্বক ভেতর থেকে পুষ্ট থাকবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট
বর্ষাকালে ফল এবং শাকসবজি খাবেন। এগুলো শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, ত্বকের জন্যও ভাল। পরিবেশগত ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন