পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাওয়া একটি প্লেন থেকে ১৬ জন ভিক্ষুককে নামিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান বিমানবন্দর থেকে প্লেনে চেপে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছিলেন ১৬ জন। তাদের প্রত্যেককেই নামিয়ে নেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তারা।
দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে সৌদি আরবে যাওয়ার সময় তাদের বিমান থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়।
সৌদির উদ্দেশ্যে রওয়া হওয়া ওই ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন নারী, চার জন পুরুষ ও একটি শিশু ছিল। মূলত ওমরা পালনের সুযোগে অতিরিক্ত আয়ের পথ হিসেবে ভিক্ষা করতে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন তারা।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সবার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার জন্য তাদের মানবপাচার ও চোরাচালান বিরোধী শাখায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইন, ২০১৮-এর অধীনে মামলা হবে।
কিছুদিন আগেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান সরকারকে হজযাত্রী বাছাইয়ের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিল সৌদি সরকার। হজযাত্রায় কোটায় আবেদনকারীদের মনোনয়নের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয় ওই বার্তায়। কোনোভাবেই যাতে ভিক্ষুক কিংবা পকেটমারের মতো অপরাধীরা হজের সুযোগ না পান, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় রিয়াদ।
আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সৌদি সরকার বলে, আমাদের কারাগারগুলো আপনাদের দেশের কয়েদিতে ভরে গেছে। আর জায়গা নেই।
এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কমিটি জানায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিক্ষুক অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব জুলফিকার হায়দার বলেছিলেন, সৌদি আরব, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য কয়েকটি দেশে আটক হওয়া ভিক্ষুকদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তানের।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম