আবারও একবার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’-এর পুরস্কার জিতলেন লিওনেল মেসি। অষ্টমবারের মতো এই পুরস্কার পেলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ম্যানচেষ্টার সিটির গোলমেশিন আর্লিং হল্যান্ড ও ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে এই পুরস্কার পান তিনি।
তবে এই পুরস্কার জিততে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বই করতে হয়েছে মেসিকে। ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড ও লিওনেল মেসির পয়েন্ট সমান হওয়া সত্ত্বেও পুরস্কার যেতেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
সোমবার রাতে লন্ডনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে তিনটায় ফিফা দ্য বেস্ট-২০২৩ (বর্ষ সেরা) ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হয়। একইদিনে ঘোষণা করা হয়েছে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী গোলরক্ষক এবং বর্ষসেরা নারী ও পুরষ কোচের নাম। তবে সব আলো যেন এদিন কেড়ে নিয়েছে বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলের অ্যাওয়ার্ড।
গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রথমে ১২ জনের তালিকা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকা ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয় ফিফা ওয়েবসাইটে। যে তিন জনকে বাছাই করা হয়েছে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক ও সমর্থকদের দেয়া ভোটে।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আর এই সময়কালে মেসির চেয়ে যোজনে যোজনে এগিয়ে ছিলেন হলান্ড। তবে তাতেও এই পুরস্কার হাতে ওঠেনি তার।
ফিফা দ্য বেস্ট-এর ইতিহাসে এমন প্রতিদ্বন্দ্বী আগে দেখা যায়নি। কারণ, মেসি ও হলান্ড দুইজনই পেয়েছেন ৪৮ পয়েন্ট করে। তবে ফিফার ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অধিনায়ক আর ভক্তদের ভোটে সেরা ছিলেন মেসি। আবার কোচ এবং সাংবাদিকদের ভোট ছিল হলান্ডের পক্ষে। অধিনায়কদের ৬৭৭ পয়েন্টের ভিত্তিতে মেসি পেয়েছেন ১৩ স্কোরিং পয়েন্ট। হলান্ড অধিনায়কদের ভোটের ভিত্তিতে পেয়েছেন ১১ স্কোরিং পয়েন্ট।
দুইজনের পয়েন্ট সমান হওয়ায় ভাগ্য নির্ধারণ করা হয় জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে। আর এতেই প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে যান মেসি। ফিফার ‘রুলস অব অ্যালোকেশন’ এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত। যেখানে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক পাঁচ পয়েন্ট ভোট বা প্রথম স্থানের অধিকারীই হবেন বর্ষসেরা।
আর এই শর্তে হলান্ড থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসিকে ১০৭ বার দেখা গিয়েছে প্রথম স্থানে, অপরদিকে হলান্ড প্রথম স্থানে ছিলেন মাত্র ৬৪ বার।
বিভিন্ন নামে ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে ফিফা। শুরু থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ নামের পুরস্কারটি একবার জেতেন মেসি, ২০০৯ সালে। সেই থেকে শুরু সেরার মঞ্চে এই মহাতারকার আধিপত্যের।
পরের ৬ বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে। এরপর বর্তমানের ‘দ্য বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, যেটি মেসি প্রথম জেতেন ২০১৯ সালে। এরপর টানা দুইবার পুরস্কারটি জিতলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম