সোমবারে (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীত্ব ত্যাগ করে দেশ ছাড়ার প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সড়কের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের স্থাপনাগুলোতে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার প্ল্যানিং কমপ্লেক্সের কোথাও নিরাপত্তা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ে এই স্থাপনার সবগুলো গেট এবং ভেতরে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকলেও আজ নিরাপত্তার দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না।
এছাড়া রাজধানীর মৌচাক, মগবাজার, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী, কারওয়ানবাজার, শাহবাগের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক মোড়গুলোতেও আজ সকালে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ছাত্রদেরকে বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায় দেখা যায়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মাসুদ আহাম্মদ বলেন, “নগরীতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে সড়কে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রমগুলো এখনো শুরু করতে পারিনি। বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের স্থাপনা নষ্ট হয়েছে। যত দ্রুত কার্যক্রম শুরু করা যায় আমরা চেষ্টা করছি।”
গতরাতে কুমিল্লা জেলার একাধিক থানায় ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জেলার অধিকাংশ থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ বর্তমানে পুলিশ লাইনে অবস্থান করছেন। সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, তাণ্ডবের ভয়ে ব্যারাকে ফিরে গেছেন বগুড়া শহরের সব পুলিশ। বগুড়ায় গতকাল সন্ধ্যায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগে জ্বালিয়ে লুটপাট করা হয়েছে সবকিছু। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে শহরের সব পুলিশ সদস্যদের ব্যারাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একইরকম পরিতস্থিত দেখা গেছে সিলেটেও। সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলার সড়কগুলোতে যান চলাচল বাড়তে থাকলেও রাস্তায় কোনো ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়নি।
এমনকি, থানা-পুলিশ ফাঁড়িতেও নেই পুলিশ। এসব স্থাপনা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম