গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। তবে গরমের তীব্রতা দিন দিন বাড়তে থাকলেও অনেকের এসি কেনার সক্ষমতা নেই। অনেকেই আবার বিদ্যুৎ বিল, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এমনকি পরিবেশের ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখেও এসি ব্যবহার করেন না। তাই আপনার ঘরকে প্রাকৃতিকভাবে শীতল রাখতে নিম্নোক্ত উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন। এর ফলে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনি ঘরকে ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন।
জানালা খোলা রাখাঃ শুধু দিনে নয়, সূর্যাস্তের পরও জানালা খোলা রাখুন। গরমে বায়ুপ্রবাহ তীব্র থাকে, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। কিন্তু সূর্যাস্তের পর তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পায়। এ সময় ঠাণ্ডা বাতাস ও প্রায়ই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়। তাই সন্ধ্যায় মিষ্টি বাতাস পেতে খোলা রাখুন জানালা।
মোটা এবং গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহারঃ বাজারে বাহারি ধরনের পর্দা থাকলেও গরম কমাতে চাইলে মোটা কাপড়ের এবং গাঢ় রঙ যেমন কালো, বেগুনী, নীল, খয়েরী এমন রঙগুলো বাছাই করতে পারেন। কারণ এগুলোর তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি, তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম থাকে৷
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তাপ প্রবেশ রোধ করাঃ জানালার মাধ্যমে প্রায় ২৫ শতাংশ তাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দিনের বেলা বা দিনের যে সময় সবচেয়ে বেশি রোদ্রৌজ্জ্বল থাকে তখন তাপ প্রবেশ করার পথ বন্ধ করে দিলে উত্তাপ কম থাকবে।
অপ্রয়োজনে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ রাখাঃ যেকোনো সক্রিয় ডিভাইস চালু থাকলে তা নির্দিষ্ট কাজের পাশাপাশি কিছু শক্তি তাপ উৎপাদনে ব্যয় করে। এতে ঘর গরম হয়। তাই অব্যবহৃত যে কোনো কিছু বন্ধ করা উচিত। কম্পিউটার, টেলিভিশন, ওভেন, কিংবা এমন ডিভাইস যা প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে তা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরে ব্যবহৃত বাল্বগুলোও তাপের উৎস। তাই সব লাইট বন্ধ করা সবসময় সম্ভব না হলেও আলো যতটা সম্ভব কম রাখতে পারেন।
বরফ পদ্ধতিঃ এটি ঘর ঠাণ্ডা রাখার জনপ্রিয় এবং প্রচলিত পদ্ধতি। ফ্যানের নিচে বাটিতে বরফের টুকরা রাখলে এটি গরম তাপ শুষে নিয়ে গলতে শুরু করবে। এতে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েই চলছে , যার প্রভাব কোনো দেশই এড়াতে সক্ষম নয়। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গরমের এই দুর্বিষহ জীবনযাত্রায় পুরোপুরি শান্তি না মিললেও স্বস্তি পেতে উপরের যে কোনো পদ্ধতি প্রয়োগে ঘরের কিংবা কাজের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে পারেন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন