সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশত্যাগের পর সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের নজর এখন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে। ইতিমধ্যে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল-বশিরকে বেছে নেয়া হচ্ছে। খবর-আলজাজিরার।
সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ এবং আসাদ পরিবারের ছয় দশকের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দেশটির রাজধানী দামেস্ক দখলের মাধ্যমে। বাশার আল-আসাদ এখন দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আসাদের পতনকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বড় মোড় ঘুরানো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিদ্রোহী বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস)। সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে এইচটিএস পরিচালিত সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-বশির।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বাশারবিরোধীরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, আল-বশির ও বাশার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালির সঙ্গে বৈঠক করছেন এইচটিএসের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। এরপর আল-আরাবিয়া টেলিভিশনকে আল-জালালি জানান, সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছেন তিনি।
তবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের গবেষক স্যামুয়েল রামানি আলজাজিরাকে বলেন, বাশারের পতনে এইচটিএসের সঙ্গে যে কয়েকটি গোষ্ঠী ছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ)। ভিন্নমত থাকা এই গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে এইচটিএস কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, এইচটিএস ও এসএনএর মধ্যে ২০২২ সালের আগে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ইতিহাস রয়েছে।
আজ ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:১৬ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি