আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রায় সব প্রবেশমুখ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা ও গাবতলী এলাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি।
দেখা গেছে কাউকে সন্দেহ হলেই তল্লাশি করছে পুলিশ। গাড়ি থামিয়েও চলছে তল্লাশি। তবে পুলিশি তল্লাশির নামে কিছু ক্ষেত্রে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিরীহ অনেককেও আটক করা হচ্ছে। কয়েকজন ভুক্তভোগীরা এ বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
ঢাকার গাবতলীতে আমিনবাজার ব্রিজের ওপর পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে ১৫ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য পরিবহনও তল্লাশি করে ছাড়া হচ্ছে। তল্লাশি সময় পরিবহনের কাগজপত্রও যাচাই-বাছাই করতে দেখা গেছে।
এদিন সকাল থেকে সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রাজধানীতে নিয়মিত চেকপোস্ট বসছে। কারণ, ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলছে। ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বর এবং ২৫ ডিসেম্বরের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিন সামনে। এর আগে যেন কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসিয়েছি।
তবে তল্লাশি চৌকিগুলোতে কোনো সাধারণ ব্যক্তি বা যাত্রীকে আটক, ঢাকায় আসা বন্ধ করে দেওয়া কিংবা হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।