রুশ বাহিনী ইউক্রেনে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা মেইন ডিরেক্টোরেট অব ইন্টেলিজেন্স (হুর)। এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারও করেছে রাশিয়া।
মস্কো বলছে, নতুন উন্নত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিমাদের কাছে এই বার্তা দেওয়া যে, ইউক্রেনের সমর্থনে তাদের যেকোনো ‘অবিবেচক’ পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
ক্রেমলিনের এ মুখপাত্র বলেন, মূল বার্তাটি হলো-পশ্চিমা দেশগুলোর বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপগুলোর প্রেক্ষিতে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও সেগুলো ইউক্রেনে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রাশিয়ান ভূখণ্ডে হামলায় ব্যবহার করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া স্পষ্টভাবে তার সক্ষমতা দেখিয়েছে। আমাদের উদ্বেগগুলোকে বিবেচনায় না নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে রাশিয়ার বক্তব্য স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে মার্কিন ও ব্রিটিশদের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায় ইউক্রেন। জবাবে ইউক্রেনের দিনিপ্রো এলাকায় সামরিক স্থাপনায় নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ওরেশনিক’ ছুড়েছে রুশ সামরিক বাহিনী।
পাল্টা এই হামলার কথা জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) মতো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।
পুতিনের এ বক্তব্যের পরদিন শুক্রবার দিমিত্রি পেসকভ বললেন, যদি পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যেতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আরো ব্যবহার করা হবে। রাশিয়া প্রযুক্তিগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা সম্পর্কে সতর্ক করতে বাধ্য ছিল না। কারণ তাদের ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটি আন্তঃমহাদেশীয়ছিল না, এটি মধ্যম-পাল্লার ছিল। তবে তিনি বলেন, মস্কো যেভাবেই হোক উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তা জানিয়েছিল।
মস্কো আরও বলেছে, আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ও স্ট্রোম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করেছে ইউক্রেন। এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরাসরি জড়িত হওয়াকে প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করছে রাশিয়া। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্রের স্যাটেলাইট টার্গেটিং ডেটা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট পথের প্রকৃত প্রোগ্রামিং অবশ্যই ন্যাটো সামরিক কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত। কারণ তা পরিচালনায় ইউক্রেনের নিজস্ব সক্ষমতা নেই।
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:০৪ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি