লেবাননে আবারো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত ওয়াকিটকি রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলি, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
লেবাননের মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ সদস্যদের পেজার বিস্ফোরণে নিহত ১২ জনের শেষকৃত্যের সময় আরও কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। হিজবুল্লাহ সে ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের যুদ্ধের নতুন পর্যায় ঘোষণার পর উত্তরাঞ্চলে পুনরায় ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ‘নাটকীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির গুরুতর ঝুঁকি’ সম্পর্কে সতর্ক করে সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “এসব ডিভাইস বিস্ফোরিত করার যুক্তি হলো বড় সামরিক অভিযানের আগে আগাম আক্রমণ হিসেবে এটি করা।”
বুধবার হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস জানায়, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরসহ তাদের ১৩ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি প্রজেক্টাইল অতিক্রম করেছে, এতে আগুন লেগেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে আট বছর বয়সী এক মেয়ে ও ১১ বছর বয়সী এক বালকসহ ১২ জন নিহত এবং ২ হাজার ৮০০ জন আহত হন।
বুধবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলি দাহিয়ায় নিহতদের মধ্যে চারজনের জানাজায় স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শোকার্তদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এরপর দেশের অন্যান্য অংশেও বিস্ফোরণের খবর আসতে শুরু করে।
লেবাননের রেডক্রস জানিয়েছে, রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলির পাশাপাশি দক্ষিণ লেবানন ও বেকা উপত্যকায় ৩০টিরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, বেকার চাট শহরের একটি দোকানে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এটি ডিভাইসটিকে একটি আইসিওএম-ভি৮২ হ্যান্ডহেল্ড ভিএইচএফ রেডিও হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা জাপানভিত্তিক ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক আইসিওএমের তৈরি একটি বন্ধ মডেল।
এনএনএ আরও জানিয়েছে, নিকটবর্তী বালবেক শহরের একটি বাড়িতে আরেকটি আইসিওএম-ভি৮২ বিস্ফোরিত হয়। সেখানে একটি টেবিল ও দেয়ালে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ‘আইসিওএম’ লেখা একটি ওয়াকিটকির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম