সরকার নয়, এখন থেকে গণশুনানির মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতির চক্র ভেঙে দেয়া হয়েছে। গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন আগ্রহ ছিল না বিগত সরকারের। বরং তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে জরুরি কারণ ও বাড়তি চাহিদা দেখিয়ে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করতে চায় সরকার। এখন থেকে কোনো যোগসাজশের মাধ্যমে নয়, জ্বালানি খাতের সব কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হবে। সরকার ক্ষমতা নেয়, কিন্তু আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। এখন আর কোনো নির্ধারিত বিডার নেই মন্ত্রণালয়ে।
তিনি বলেন, আমার কোনো ঋণ নেই ব্যক্তিগতভাবে। কিন্তু আমার কাছে অনেকেই টাকা পায় সরকারের এই দফতরের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই। যারা সীমান্ত দিয়ে আমাদের বিদ্যুৎ দিচ্ছেন তারা ডলার পান।
তিনি আরও বলেন, সরকারকে দুর্বল মনে করে দাবি-দাওয়া তুললেই হয়ে যাবে, এটা ভাবা ঠিক নয়। এই সরকার দুর্বল নয়, অনেক সরকারের চেয়ে শক্তিশালী। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেউ দায়িত্ব পালন না করে চলে গেলে তাদের একবারে চলে যাওয়া উচিত।
ফাওজুল কবির খান বলেন, কেউ দায়িত্ব পালন না করলে তার জায়গায় বিকল্প লোক প্রস্তুত আছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্ল্যাক আউটের ঝুঁকিতে নেই। এই কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম