ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে আবারও মেয়র হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কীর চেয়ে চার গুণ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।
শনিবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ১২৮ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদেকুল মিল্কী হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। ঘোড়া প্রতীকে এহতেশামুল আলম ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট, হরিণ প্রতীকে ড. রেজাউল হক ১ হাজার ৪৮৭ ভোট ও শহিদুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট। এ সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬।
বিএনপিসহ নিবন্ধিত অন্য দলগুলোর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রার্থীও ছিলেন না এ নির্বাচনে। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ নিজ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী সবাইকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফলে স্থানীয় এমপিসহ জেলা ও মহানগর কমিটি সাংগঠনিকভাবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে এককভাবে অবস্থান নেওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়।
এসব কারণে মেয়র পদে একতরফা ফলাফলের আভাস শুরু থেকেই মিলছিল। তবে প্রচারকালে নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা না গেলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬০ শতাংশের মতো। মূলত কাউন্সিলর প্রার্থীরাই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ আর পুরুষ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন। হিজড়া ভোটার ৯ জন। নির্বাচনে ভোটের হার ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। এবার ১২৮টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রার্থী হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪ থেকে ৬ জন। সর্বোচ্চ ৮ জন প্রার্থী ছিলেন ৩টি ওয়ার্ডে। ফলে ময়মনসিংহে ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম