ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক শোক বার্তায় তিনি প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার পঙ্কজ উদাসের মেয়ে নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে গায়ক নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
পঙ্কজ উদাস ভারতের গুজরাতে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত গজলশিল্পী হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান।
তার সঙ্গীত জীবনের বিস্তার চার দশকেরও বেশি সময়। হিন্দি সিনেমা এবং ইন্ডি-পপের জগতে তার অবদান ভোলার নয়। লাইভ অনুষ্ঠান হোক বা অ্যালবাম কিংবা ছবির গান, আশি ও নব্বইয়ের দশকে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি।
‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘না কাজরে কি ধার’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’, ‘আহিস্তা’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, নিকলো না বেনাকাব’— পঙ্কজ উদাসের গাওয়া এই সব গজল আজও ভুলতে পারেনি শ্রোতা-দর্শকরা।
‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’-এর মতো জনপ্রিয় অ্যালবাম রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। জগজিৎ সিং-কে বলা হয়, গজল সম্রাট। আর সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে ‘গজল কিং’ পঙ্কজ উদাস।
সিনেমার গানে তার অভিষেক হয় ১৯৭২ সালে ‘কামনা’ ছবির মাধ্য়মে। তারপর ‘সাথ সাথ’, ‘উৎসব’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’র মত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন।
১৯৮৬ সালে ‘নাম’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘চিটঠি আয়ি হ্যায়’ গানটিই তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। ১৯৯১ সালে ‘সাজন’ সিনেমার ‘জিয়ে তো জিয়ে’ও তাকে ‘হিট গান’র তকমা এনে দেয়।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম