পর্তুগালের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে রোববার শুরু হওয়া দাবানলে অন্তত সাতজন নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। বেশ বহু বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। দাবানলের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় রাস্তা ও মহাসড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার স্পেন এবং মরক্কো থেকে পাঠানো সহায়তা পৌঁছেছে দেশটিতে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে তারা পাঁচ হাজারের বেশি দমকল কর্মী মোতায়েন করেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আভেইরো জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা দমকল বাহিনীর ক্লান্ত কর্মীদের মধ্যে খাবার ও পানি বিতরণ করছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
“আমরা জানি তারা খুব ক্লান্ত। যেহেতু তাদের খাবার খাওয়ার সুযোগ নেই, তাই আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এতে তাদের ধন্যবাদ জানানোর কিছু নেই,” বলেছেন ক্রিস্টিনা আলমেইদা নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক।
বেসামরিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিসেউ জেলায় বুধবার থেকে স্প্যানিশ সামরিক বাহিনীর ২৭০ জনের একটি বিশেষ জরুরি দল মোতায়েন করা হবে এবং মরক্কো থেকে চারটি ভারী জলছিটানো বিমান পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সোমবার পর্তুগাল সরকার সাহায্য চেয়ে অনুরোধ জানানোর পর স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্স এরই মধ্যে দুটি করে জলছিটানো বিমান পাঠিয়েছে। ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সার্ভিসের তথ্যে দেখা গেছে, শনিবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে ইতোমধ্যে ৯০ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, পর্তুগালজুড়ে কমপক্ষে বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুষ্কৃতিকারীদের যোগসূত্র আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী লুইস মংচেনিগ্রো এই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, তারা শনিবার থেকে আভেইরো, লেইরিয়া, কাস্তেলো ব্রাঙ্কো, পোর্তো ও ব্রাগা জেলায় অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম