কাতারে যেন ইতিহাস গড়তেই এসেছে আরব-আফ্রিকান দেশটি। একে একে তারা পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে সেখানেই থামেনি তারা। বরং এবার তারা যা করল, তা ইতিহাসকেও হার মানিয়েছে। জন্ম দিয়েছে আফ্রিকান রূপকথার। সেই সঙ্গে আরব দেশগুলোর ফুটবল-বিপ্লবেও নেতৃত্ব দিচ্ছে মরক্কানরা।
শনিবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে ইয়াসিন বোনোর দল।
এরই সঙ্গে বিশ্বকাপে আফ্রিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিতের গৌরব অর্জন করল দলটি। তবে মরক্কোর সপ্ন আরও বড়। ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর তারা। আর দলের স্বপ্নে সারথি হতে কাতারে যোগ দিতে চান বহু মরক্কান। নিজ দেশের ম্যাচ সরাসরি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করতে চান তারা। দলের ১১ তারকাকে দিতে চান উৎসাহ ও সমর্থন। আর সেজন্য অতিরিক্ত ৩০টি বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছে মরক্কোর সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা রয়েল এয়ার মারোক।
যাতে সেমিফাইনাল পর্বে নিজেদের দেশের প্রথম ম্যাচ যেন মরক্কোর ফুটবলভক্তরা মাঠে গিয়ে সরাসরি উপভোগ করতে পারেন। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে রয়েল এয়ার মারোক জানিয়েছে, আগামী মঙ্গল ও বুধবার দোহার উদ্দেশে মরক্কোর বাণিজ্যিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা থেকে এসব ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। সেমিফাইনালে আগামী বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে নামবে মরক্কো। তার আগেই দোহায় পৌঁছে যাবেন ‘মারোকরা’।
মরক্কোর জনগণরা ‘মারোক’ নামে পরিচিত। কাতার বিশ্বকাপে চমকের পর চমক দেখিয়ে যাচ্ছে মরক্কো দলটি। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির রক্ষণ সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছে। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মরক্কোর জালে প্রতিপক্ষ কোনো গোল ঢুকাতে পারেনি। একটি গোল হয়েছে, তাও আত্মঘাতী। বেলজিয়াম, ব্রাজিল, স্পেনের পর পর্তুগালের মতো পরাশক্তিদের বিদায়ের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত দাপট নিয়ে খেলছে আশরাফ হাকিমির দল।