পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেললাইনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপনও। সবকিছু ঠিক থাকলে পদ্মা সেতু দিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর আশা প্রকৌশলীদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ। এ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার অংশে কাজ চলছে রাত দিন। ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের প্রায় ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৬.৭৭ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেললাইনের ১৩.১১ কিলোমিটার শেষ হয়েছে। আর পাথরসহ রেললাইনের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ অংশের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ। তাই চলছে অটো সিগনালিং সিস্টেমের কাজও। ৬.৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজও পুরোপুরি শেষ।
মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৫ শতাংশেরও বেশি। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ায় স্টেশনগুলোর চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে এখন।
প্রকল্পটির সহকারী প্রকৌশলী মো. লোকমান হোসেন জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন আগামী সেপ্টেম্বরে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের পদ্মা রেলসেতু সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। আর কাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালের ২৫ জুন। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল দিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু পার হন এবং এর মধ্যদিয়ে দক্ষিণের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়কপথে যোগাযোগের দুয়ার খুলে যায়।
পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন