স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। বন্যায় উদ্ধার প্রচেষ্টায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনার মধ্যে সেখানে আরও ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বন্যায় যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, তাদরে বেশিরভাগই ভ্যালেন্সিয়া শহর এবং এর আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া কাঁদায় ঢাকা পড়েছে অনেক শহর। ফলে অনেক এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং বাসিন্দারা খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, উদ্ধারকর্মীদের জন্য রাস্তাগুলো খালি রাখতে সপ্তাহান্তে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে চলাচল সীমিত রাখা হবে। ভ্যালেন্সিয়া শহর থেকে হাজার হাজার মানুষ আশেপাশের গ্রামীণ এলাকায় গিয়ে খাবার ও সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানো এবং পরিচ্ছন্নতা কাজে সহায়তা করছেন।
এদিকে স্পেনের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চলে আবহাওয়া সতর্কতায় বলা হয়েছে, রোববার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। শনিবার (২ নভেম্বর) বালিয়ারিক দ্বীপপুঞ্জের জন্যও একটি নতুন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে প্রায় এক হাজার ৭০০ সৈন্য ইতোমধ্যেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। যদিও সেখানে বেঁচে থাকা মানুষ খুঁজে পাওয়ার আশা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমছে। উদ্ধার কাজের একটি বড় অংশকে গাড়ি পার্ক এবং ভূগর্ভস্থ টানেল থেকে পানি নিষ্কাশন করতে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বন্যার সময় বেশকিছু মানুষ সেসব জায়গায় আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন্যার আগাম সতর্কতা এবং সংকট মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া না দেয়ার অভিযোগে কড়া সমালোচনা হয়েছে। যদিও ভ্যালেন্সিয়া শহরের আশেপাশের এলাকায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টার দিকে জরুরি সতর্কতা পাঠানো হয়। তবে অনেক এলাকায় তখন দ্রুত পানি বাড়তে শুরু করে।
আজ ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৩৬ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি