প্রায় ২৫ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ আহমেদ। ১৮ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থী এমআইটিতে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে তিনি পদার্থবিদ্যা এবং অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন।
পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম কলেজিয়েট সিক্সথ ফর্ম কলেজে পড়শোনা করেছেন ইউসুফ আহমেদ। এ কলেজ থেকে তিনি নির্বাচিত শিক্ষার্থী দলের সঙ্গে গত বছর ইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান। সেখানে তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানে অংশগ্রহণ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ভালো কলেজে ভর্তির বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত হন। এ সফরের পূর্বে কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আমেরিকার স্যাট পরীক্ষার জন্য আমেরিকা থেকে বিশেষায়িত শিক্ষক আনা হয়েছিল। স্যাট পরীক্ষায় ইউসুফ অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
এরপর তার কাছে এমআইটির শিক্ষাবৃত্তির চিঠি আসে। যদিও কয়েক সপ্তাহ পূর্বে আরেক বিশ্ববিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্পাস ক্রিস্টি কলেজ তার ভর্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এমআইটি‘র পর ইউসুফের কাছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তির অফার আসে। এমআইটিতে সুযোগ পেয়ে তিনি খুশিতে আত্মহারা।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে ক্যামব্রিজ থেকে যখন প্রত্যাখ্যাত হই, তখন আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। আমার স্বপ্ন ছিল জীবন পরিবর্তন করতে পারে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমকে ইউসুফ জানান, সত্যি বলতে কি আমি ভাবতে পারিনি যেখানে এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভর্তির সুযোগ পাইনি সেখানে কিভাবে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারব।
তিনি আরো বলেন, ‘এরপর এমিআইটি থেকে অফার আসে, আসে হার্ভার্ড থেকেও। এটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে, আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। ইউসুফ আরো বলেন, বিষয়টি আমার এবং আমাদের পরিবারের জন্য লটারি জিতার মতো একটা ব্যাপার হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে একই কলেজ থেকে আরেক ব্রিটিশ বাংলাদেশি তাফসিয়া সিকদার ভর্তি হয়েছিলেন এমআইটিতে। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘যখন আমি জানলাম এই কলেজ থেকেই তাফসিয়া এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে আমি ভাবলাম আমি নই কেন?’ তারা দুইজনে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পিছিয়ে থাকা পূর্ব লন্ডনের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন ইউসুফ।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন