ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ইয়াংগুনে এ সহায়তা হস্তান্তর করা হয়। ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ারস এ এস এম সায়েম মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন রিজিয়ন সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী অং উইন থেইনের কাছে এ সহযোগিতা হস্তান্তর করেন।
ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণের সময় অং উইন থেইন বাংলাদেশ সরকারের এ সময়োপযোগী মানবিক সাহায্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ ৩ জুন চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে সোমবার (৫ জুন) বিকেলে ইয়াঙ্গুনের থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছায়। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, তাঁবু, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ এস এম সায়েম বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতীতে ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য বিপুল পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারি এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসা সেবা দল পাঠিয়েছে।
ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ‘সমুদ্রজয়’ এবং সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন