দীর্ঘ এক বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে মৌলভীবাজারের জুড়ীর বৃন্দারঘাট সেতুর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার কাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালামাল আনতে শুরু করেছে তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জুড়ীর বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১শ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জুড়ী নদীর উপর (কাপনাপাহাড়-কাশিনগর) ৬০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার বৃন্দারঘাট সেতু নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি পায় ভোলার মেসার্স মনির ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজটি শুরু করে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
টেন্ডার অনুযায়ী ২০২১ সালের অক্টোবরে কাজ শেষ হবার কথা ছিল। এই সময়ে বৃন্দারঘাট সেতুর দুই দিকের গার্ডার (অ্যাপার্টমেন্ট ওয়াল) ঢালাই দিয়েই ঠিকাদার কাজ ফেলে রাখেন। ৩০ ভাগ কাজ করে বাকি ৭০ ভাগ কাজ বন্ধ রেখে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ঠিকাদারকে একাধিকবার তাগাদা দেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ঠিকাদারকে বারবার পত্র দিয়ে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নানা অজুহাতে সময় কালক্ষেপণ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা কোমল বোনার্জী, শাহ এমরান মিরন, প্রমেশ বাউরী বলেন, বৃন্দারঘাটে সেতু হবে এটি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সামান্য কাজ করে কাজ বন্ধ রাখায় মানুষের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছিল। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে সেতুর কাজ শেষ হোক।
জুড়ী উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কাজের জন্য মালামাল এনেছে যথাস্থানে। কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তারা এখনও আবেদন করেনি। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে আর তারা কাজ করে তাহলে ১ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি