নওগাঁর বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীন রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শফিকুল ইসলাম খান ইন্তেকাল করেছেন। তিনি নওগাঁ’র প্রবীন আইনজীবি ইয়ার আলী খানের পুত্র এবং নওগাঁ সরকারী কলেজ থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে অবসরপাপ্ত প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম খানের বড় ভাই।
তিনি নওগাঁ’র আপমর জনগনের কাছে শফিক খান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ বগুড়া কালেক্টরেট থেকে ২০০৩ সালে অবসরগ্রহণ করেন। সেই থেকে অবসর জীবানযাপন করছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ বাধ্যক্যজনিত নানা রোগেব্যধিতে আক্রান্ত ছিলেন। ১১ জুন রবিবার রাত রাত ১২টা ১০ মিনিটে রাজশাহী পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা, ভাইবোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সুভানুধ্যায়ী এবং মুক্তিযুদ্ধের সহযোদ্ধাদের রেখে গেছেন। তাঁর এক কন্যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং আরেক কন্যা ঢাকা ভাসানটেক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
পারিবারিকভাবে জানানো হয়েছে শফিক খান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নওগাঁ’র প্রথম কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি জাসদের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ভালো একজন টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। একজ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন।
রবিবার বাদ আছর নওগাঁ নওযোয়ান ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান এবং নামাজে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় কবরস্থানের মুক্তিযোদ্ধা অংশে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। তাঁর নামাজে জানাজায় বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক খানের মৃত্যুতে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক শফিক ছোটনসহ সকল সদস্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদান জানিয়েছেন।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি