চলতি মাসেই বড় সুখবর আসতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর কাজে। এ মাসের শেষ নাগাদ শেষ হবে ৪২টি পিলারেরই খুঁটি ড্রাইভিংয়ের কাজ। পুরো সেতুর ২৯৪টি খুঁটির মধ্যে ২৮৫টির কাজ এর মধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে এখন পর্যন্ত দেশে আনা হয়েছে ২৪টি স্প্যান। বাকীগুলো খুব দ্রুত আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
পুরো সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ শেষে ২৯টি পিলার এখন শতভাগ প্রস্তুত। নদীতে ৪০ টি পিলারে ২৬২ এবং দুই পাড়ের বড় দুটি পিলারে ৩২টি মিলিয়ে পুরো সেতুতে খুঁটি বসাতে হচ্ছে ২৯৪টি। এর মধ্যে ২৬, ২৭ ও ২৯ নম্বর পিলারে বাকী আছে মাত্র ৯টি খুঁটির কাজ। সেটাও এ মাসে শেষ করে আনা হলে, পদ্মা সেতুর সবচে চ্যালেঞ্জিং- অর্থাৎ খুঁটি বসানোর কাজ শেষ হয়ে আসবে শতভাগ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পাইলের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা গার্ডারের কাজ করে যাচ্ছি। এটা চলমান।’
এরপর এ খুঁটিগুলোতে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হলেই নদীর বুকে দাড়িয়ে যাবে পুরো পিলার। বাকি থাকবে স্প্যান বসানোর কাজ। এখন পর্যন্ত পিলার প্রস্তুত ২৯টি, স্প্যান প্রস্তুত ২৪টি। কিন্তু বসানো হয়েছে মাত্র ১৪টি স্প্যান। গত এপ্রিল মাসে নতুন করে আনা দ্বিতীয় লিফটিং ক্রেনটি আগামী আগস্ট মাসের দিকে ইনস্ট্রল করা গেলে স্প্যান বসানোর কাজে আরও গতি আসবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম জাজিরার ৭ নম্বর থেকে আর মাওয়ার ১ নম্বর থেকে আমরা শুরু করবো। কিন্তু সেই পরিকল্পনা মাফিক করতে পারি নাই। যার কারণে অনেকগুলো স্প্যান আমরা বসাতে পারিনি।’
চলতি মাসের মধ্যে সবগুলো পিলারের খুঁটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ করা গেলে নিঃসন্দেহে তা হবে অনেক বড় অগ্রগতি। তারপরে বাকি ২টি ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা গেলে নদীতে দৃশ্যমান হবে ৪২টি পিলার। এরপর কত দ্রুত স্প্যানগুলো বসিয়ে সেতু চালু করা যায় তার চ্যালেঞ্জ থাকবে প্রকৌশলীদের হাতে।