সরজমিনে শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন স্কুল সহ শহরের প্রায় সকল স্কুলের সামনে ও শহরের পোস্ট অফিস মোড়, পাকাপোল মোড়, নিউমার্কেট মোড়, বড় বাজারের মোড়, হাটের মোড়, নারকেলতলা মোড়, খুলনা রোড মোড় সহ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে বিক্রেতারা আঁশফল নিয়ে বসেছেন। আর ক্রেতারা সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন আঁশফল কেনার জন্য। শিশু কিশোররাই মূলত এই ফলের মূল গ্রহক। গড়ে ১০-২০টাকা কুড়ি দরে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু ও রসালো মৌসুমী ফল আঁশফল। খেতে অনেকটা লিচুর মত লাগলেও দেখতে লিচুর চেয়ে অনেক ছোট ও ধূসর রঙের। আর খোসা ছাড়াতেই রসালো মিষ্টি স্বাস, ভবতেই জিভে জল এসে যায়। এখন যে হারে আমাদের চোখের অজান্তে বিদেশি ফলে ফরমালিন দেয়া হচ্ছে সে তুলনায় আমাদের দেশি এই ফল পুষ্টি গুনে ও স্বাদে অসাধারণ। আর এই ফলে ফরমালিন দেয়া লাগে না ফল ব্যবসায়ীদের কারণ এই ফল গাছ থেকে পাড়ার পরও অনেক দিন তাজা থাকে আর দামও অনেক কম। শহরে চলার পথে বা মার্কেটে শপিং করতে এসে আঁশফল কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। শিশুরাও আঁশফল দেখে বাবা-মাকে বলছে এটি কেনার জন্য। বাবা-মাও শিশুদেরকে আঁশফল কিনে দিয়ে তাদের আবদার পূরণ করছে। এই বিষয়ে জানতে, শহরের পাঁকা পোলের মোড়ে আঁশফল বিক্তেতা আক্তারুল ইসলাম জানান তারা গাছ কিনে রেখেছেন শহরের বিভিন্ন অংশে। এছাড়া গ্রাম থেকেও অনেকে আঁশফল কিনে নিয়ে আসে শহরে বিক্রি করে তারা। অনেক ব্যবসায়ী আবার প্রত্যান্ত গ্রামে গাছ কিনে রেখেছেন এই মৌসুমী ফলের ব্যবসা করার জন্য। এই ফলের চাহিদাও বেশ ভাল। গাছের ফলন ভেদে ৩ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় এক একটা গাছ কিনেছেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে আঁস ফল কেনা বেঁচা শুরু হওয়ায় অনেকের মধ্যে নতুন করে গাছ লাগানোর প্রবনতা বেড়েছে।
রইচপুর এলাকার আঁশফল গাছের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন এক সময় এই গাছের ফল বিক্রিতো দূরের কথা কেউ খেত না,্আর এখন তা গাছে হওয়ার আগে গাছ বিক্রি হয়ে যায়।
পোস্ট অফিস মোড়ে আঁশফল কিনতে আসা শহরের রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, “২০টাকা কুড়ি দরে চার কুড়ি আঁশফল কিনেছি। এটি রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। ছোট-বড় সকলের ফলাটি খেতে পছন্দ করে। আমার পরিবারের সবাই আনন্দের সাথে এটি খেয়ে থাকে।”দাম ও কম স্বাদও ভাল তাছাড়া দেশি ফল বিষ মুক্ত তাই আমারর ও খুব পছন্দ।