২০২০-২০২২ মেয়াদে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৯১ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক আর্থ সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম ইকোসকে আরো বেশি শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন এই পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে এসকাপের মতো সাবডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ এই মর্যাদাপূর্ণ পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচিত হলো যখন আমরা জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন করতে যাচ্ছি।প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী এবং গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন রুপকল্প ২০২১ ও এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে সে সময় ইকোসকের এই সদস্য পদ বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে আরও মর্যাদাপূর্ণ আসনে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখবে। গেল বছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রার প্রাথমিক ধাপ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ইকোসকের এই সদস্য পদ আমাদের এ সকল উন্নয়ন প্রতিশ্রুতিকে আরও বেগবান করবে। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে এসকাপের মতো সাবডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় বাংলাদেশের আরও শক্তিশালী অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এই বিজয় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক অনন্য উপহার। গতবছর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রার প্রাথমিক ধাপ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতে ইকোসকের এই সদস্যপদ লাভ আমাদের আরও সামনে এগিয়ে নেবে। এছাড়া এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নেও এ বিজয় নতুন গতি আনবে।এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের আগামী দিনের টার্গেট হচ্ছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ফোরাম সিকিউরটি কাউন্সিলের সদস্যপদ লাভ করা। তবে এটি সহজ নয়, অনেক দেশ এই পদের জন্য এগিয়ে রয়েছে। এজন্য আমাদেরকে আরও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আমরা আশাবাদী। সেই সাথে ইকোসক’র প্রেসিডেন্টর পদটিই আমাদের লক্ষ্য।