দুই বছর ধরে প্রেম করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি আর বিনোদন সাংবাদিক তামিম হাসান। এরপর এ বছর ১৪ এপ্রিল তাঁদের বাগদান হয়। দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ছিল অনুষ্ঠানটি। বাগদান অনুষ্ঠানের পরদিন প্রথম আলোকে পরীমনি বলেন, সামনে যেকোনো ১৪ এপ্রিল তাঁরা বিয়ে করবেন। সেভাবেই এগিয়েছে সবকিছু। হঠাৎ তাঁদের দুজনের সেই পথ এলোমেলো হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। পরীমনির ফেসবুক পেজ থেকে বাগদানসহ তাঁদের দুজনের বিভিন্ন সময়ে তোলা অনেক ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অনেক দিন দুজনের নতুন কোনো ছবি ওঠেনি তাঁর ফেসবুক পেজে। আর তাতেই সন্দেহ বিনোদনপাড়ার মানুষজনের।
তামিমের সঙ্গে বাগদানসহ বিভিন্ন সময়ে তোলা ছবি আপনার ফেসবুক পেজ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকি আপনার আঙুলে বাগদানের আংটি নেই। অনেকে ধারণা করছেন, আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক শেষ?
সব ছবি তো সরিয়ে ফেলা হয়নি। তবে এখন আর দুজনের নতুন কোনো ছবি দিচ্ছি না। আর রিংটা অনেক বড়, ওটা পরে থাকা যায়? বাগদানের পরের দিনই খুলে লকারে রেখে দিয়েছি। আর সম্পর্ক তো সেটাই শেষ হয়, যেটা আসলেই হয়। আমি কাজকে ফোকাস করতে চাই, বয়ফ্রেন্ডের ছবি নয়। যেটা যেখানে দেওয়া উচিত, আমি শুধু সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করছি এখন।
কিন্তু শোনা যাচ্ছে, প্রায় দেড় মাস ধরে আপনারা আলাদা থাকছেন। আপনাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই?
একসঙ্গে তো ছিলামই না, আলাদা হওয়ার কী আছে! কাজের সঙ্গেও যোগাযোগ দুবছর অফ রেখেছিলাম। তার চেয়ে নিশ্চয়ই এই প্রেমবিষয়ক ব্যাপারটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না। অন্তত আমি সেটাই বিশ্বাস করি।
আপনাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুই পরিবার থেকে নাকি মিটমাট করার চেষ্টা হয়েছে?
এটা তো পারিবারিক সমস্যা নয়। সুতরাং পরিবারের বিষয়টি এখানে না আনাই ভালো।
আমি বাগদানের সময়ই আগামী কোনো এক বছরের ১৪ এপ্রিল বিয়ের দিন ঠিক করে রেখেছিলাম। তবে বাগদান না হলে কোনোভাবেই বুঝতে পারতাম না, আমি বিয়ের জন্য একদমই প্রস্তুত না। বরং গোষ্ঠী মেনটেইন করার যে বিশাল হিসাব আছে, সে বিষয়ে আমি ভীষণ অপরিপক্ব। তবে সময় কথা বলবে। এটুকুই বলতে চাই।
কিন্তু দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরল কেন?
আমি এটা একা বলতে পারব না। তাহলে দুজনকেই বলতে হবে। একতরফা বলা ঠিক হবে না। শুধু যেটুকু না বললেই নয়, সেটা হলো আমার কাজকে কেউ যদি অসম্মান করে, সেখানে আমি কখনো একচুল আপস করব না। প্রেম আমি কোনো লুকোচুরি ছাড়া ঢাকঢোল পিটিয়ে করেছি। কারণ এখানে সম্মানের জায়গা ছিল। একইভাবে আমার কাজও সম্মানের জায়গা। সেটাও নিজেদের বুঝতে পারা অনেক বেশি দরকার।
আপনার কাজকে তামিম অসম্মান করেছেন?
এ ব্যাপারে এখন কিছুই বলতে চাই না। এতক্ষণ যা বললাম, বুঝে নিতে হবে।
এখন আপনাদের দেখা হয়? কথা হয়?
এত হিসাব দেওয়ার কিছু নাই। কারণ এতক্ষণ ধরে যা বলেছি, তাতেই সব পরিষ্কার আছে।
সুত্র : প্রথম আলো