বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। নিম্ন আদালতের ৫ বছরের সাজা উচ্চ আদালতে বেড়ে হয়েছে ১০ বছর।
শারীরিক নানা জটিলতায় একাধিকবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়েছেন চিকিৎসা। বর্তমানে ভর্তি আছেন এখানেই।
এ অবস্থায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠকে গুরুত্ব পায় বিষয়টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইয়ামন গিলমার বলেন, যখনই কোন দেশের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কারাগারে থাকেন বিচারিক প্রক্রিয়াগুলো আমরা জানতে চাই। অন্য দেশগুলোর মতো বেগম জিয়ার কারাগারে থাকা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। এটা কোনভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার কমিশনের কাছে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন চাই, সেই সম্পর্কে জোর দিয়ে উনার সাথে কথা বলেছি। অনুরোধ করেছি, মিয়ানমারে গিয়ে উনি যেন রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলেন।
৩ দিনের সফরে আসা গিলমার মঙ্গলবার সকালে পরিদর্শন করবেন কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প। এরপর তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে মিয়ানমার সফর যাবেন।