চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামে উপজেলা নির্বাচনের সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় পাঁচ জন আহত হয়েছে। আহতরা চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছে। আহতরা হলেন উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে হারুন অর রশিদ (৪৭), আনিচুর বিশ্বাসের ছেলে আজাদ (২৮), রোকন আলী বিশ্বাসের ছেলে আমিনুর (১৬), মোহাম্মদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ওয়াজ উদ্দীন বিশ্বাস (৫০), রহমত বিশ্বাসের ছেলে হাফিজুর রহমান পেন্টু বিশ্বাস (৫২)।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া পারভীন বলেন, আহতদের চিকিৎসা সেবা চলছে। তাদের মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে মাথায় গুরতর আঘাতের কারণে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহত আজাদ এবং আমিনুর (দুই জন) কে যশোরে রেফার্ড করা হয়েছে। প্রতিবেদন নেওয়ার সময় রেফার্ডকৃতদের যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা চলছিলো।
ঘটনার বিষয়ে বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে জানান, হামলার বিষয়টি ঘটেছে উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে। গ্রামে আওয়ামীলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. মোঃ মুস্তানিছুর রহমানের গ্রুপের লোকজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমানের গ্রুপের লোকজনের উপর আজ রবিবার (৯ জুন) সকাল সাতটার দিকে আতর্কিতভাবে দা, রড, ইট ইত্যাদির দ্বারা হামলা করে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। ফলে উপরে উল্লেখিত পাঁচ জন আহত হয়। তিনি আরও বলেন ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামের শহিদুল ও তোতার বাড়ির সামনে রোডের পাশে। হামলাকারী গ্রুপের লোকজন অনেক দিন থেকেই এসএম হাবিব গ্রুপকে মারার জন্য ঐ পথে প্রস্তুত থাকে কিন্তু সুযোগ পায় না। আজকে খুব সকালে আহতরা মাঠে পটলের ফুল ছোয়াতে ঘটনাস্থলের রাস্তা দিয়ে মাঠের উদ্যেশ্যে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে আহতরা দা, রড, ইট ইত্যাদি নিয়ে প্রস্তুত থাকা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন মেম্বর জাহাঙ্গীরের কথা ঠিক আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিলো বিশ-পঁচিশ জন এবং হামলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলো। এই জন্য একপক্ষ আতর্কিতভাবে হামলার শিকার হয়ে গুরতর আহত হয়। এই সূত্র মতে হামলাকারীরা হলো- বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের খাতের (আজিবার) ও তার ছেলে তৈনুর, তোতা ও তার ছেলে আলম, মনির, শহিদুল ও তার ছেলে শরিফুল, আবিদুর, রকি, কাঠ মুন্তাজ ও তার ছেলে তরিকুল, ওহাবের ছেলে শাহিনুর, মাহাবুদ, শাহাজানের ছেলে হাসিবুল, ইজারুলের ছেলে গাওছুল, মৃত মকবুলের ছেলে মহাব্বত, লতিফের ছেলে তরিকুল, বুলবুলির ছেলে পারভেজ, মুকুলের ছেলে বোরহান ডাক্তার, করিম বকশের ছেলে লাভলুসহ আরও অনেকে।
এই প্রতিবেদন প্রদানের সময়কালে মুটোফোনে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ উক্ত গ্রাম থেকে আটজনকে আটক করেছে। তারা এজহার প্রক্রিয়াধীন, যাচায় বাছায় করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।