যশোরের ঝিকরগাছার শংকরপুর-বাঁকড়া সড়কে ইট ভাটার মাটিতে রাস্তায় হাটু পরিমান কাঁদা জমে রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টিতেই চলাচলে দারুন অসুবিধা হচ্ছে পথচারীদে। মোটর সাইকেল স্লীপিংয়ে হাত-পা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটছে অনেকের। ট্রাকে মাটি নেয়ার সময় ট্রাক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়া মাটিতে বৃষ্টির পানি পড়ে স্যাত স্যাতে অবস্থা ও কাঁদা তৈরি হয়েছে। এতে করে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে সড়কে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। ইট ভাটার মাটিবাহী ট্রলির মাটি পড়ে বর্তমানে এ গুরুত্বপুর্ণ সড়কটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত রোববার সন্ধ্যা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে রাস্তায় কাঁদা তৈরী হয়েছে।এতে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।ভাটা মলিকদের গোড়ামির কারনে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এরা সরকারী নীতিমালা না মেনে এই সড়কে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা তৈরী করেছে। জমি ও খালের মাটি কেটে তা ট্রাক্টরে করে ভাটায় নিয়ে আসছে কয়েক কিলোমিটার দুর থেকে। ট্রলির জার্কিংয়ের ফলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাঁটল। ধ্বসে পড়ছে রাস্তা। একারনে রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। এত কিছুর পরও ক্ষমতাবলে ভাটা কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। শংকরপুর- বাঁকড়া প্রধান সড়কের একেবারেই পাশে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি ইট ভাটা। কাঠ পুড়ানো নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে বছরের সারাটা সময় তারা ভাটার সামনে কাঠ রেখে তা প্রকাশ্যে পুড়ালেও কর্তৃপক্ষ দেখছেনা। ইট ভাটা আধুনিকায়নের নির্দেশ দিলেও তারা ক্ষমতার দাপটে পুরোনো কায়দায় ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। :- মোঃলোকমান হোসেন, যশোর জেলা প্রতিনিধি