জাতীয়করণের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে এবং এম.পি.ও ভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে আন্দোলন চাঙ্গা করতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ( নজরুল ইসলাম রনি ) স্যারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কয়েকটি বৃহৎ শিক্ষক সংগঠন একত্রিত হচ্ছে। উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাস্তর। তাই এ স্তরকে জাতীয়করণের বাইরে রেখে, শিক্ষকদের বাড়ীভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, ১০০% উৎসবভাতা হতে বঞ্চিত রেখে কখনও জাতির পিতা, বাঙ্গালী জাতির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। গতকাল বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ইফতার পার্টি ও আলোচনা অনুষ্ঠানে উক্ত সংগঠনের সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম রনি কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সাপোর্টার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
পরে কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটি গঠন করেন।
এতে “বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে নির্বাহী সভাপতি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম রনিকে নির্বাহী সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং বিটিসি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম কে ১ম যুগ্ম সম্পাদক,বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি মোঃ বজলুর রহমানকে কোষাধ্যক্ষ করে ” ২১ সদস্য বিশিষ্ট”এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সমন্বয় কমিটি” গঠন করা হয়েছে। সভায় “মুজিব বর্ষ” পালন সহ এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখতে শীঘ্রই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতকারের চেষ্টা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।পর্যায়ক্রমে সকল সংগঠনকে একীভূত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।