মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেনের পশ্চিম পাশে আফনান জুট মিলের লেবার সর্দার শহিদ কাজী(৩২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী মোছাঃ হনুফা বেগম বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ মামলায় যাদের কে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন,যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর সারথী মিলের পাশে মৃত জবেদ আলীর ছেলে আমির হোসেন ওরফে আমির চাঁন,ওরফে রমজান,একই এলাকার আসলামের ছেলে মেহেদী হাসান টপি ও চান্দুর ছেলে হাবু ও জিয়ারুলসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী মেহেদী হাসান টপিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মাগুরা জেলার সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের মৃত শহিদ কাজীর স্ত্রী মোছাঃহনুফা বেগম বাদি হয়ে (সোমবার ২০শে মে) রাতে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় দায়ের কৃত এজাহারে বলেছেন,তার স্বামী শহিদ কাজী আফনান জুট মিলের লেবার সর্দার দায়িত্ব পালন করছিল।আসামী আমির হোসেনের স্ত্রী জুলেখা উক্ত মিলে কাজ করার সময় শহিদ কাজীর সাথে সম্পর্ক হয় সন্দেহে আমির হোসেন শহিদ কাজীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।সোমবার দুপুর আড়াইটার সময় শহিদ কাজী তার সহকর্মী শাহিন জুট মিলের পাশে মোমিন এর মুদী দোকানে যান। সেখানে দুুপুরের খাবার খেয়ে ফেরার কালে উক্ত আসামীরা অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে ছুরিকাঘাত করে।রক্তাক্ত অবস্থায় শহিদ কাজীকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। ছুরিকাঘাত করে পালাবার কালে স্থানীয় লোকজন ও মিল শ্রমিকরা মেহেদী হাসান টপিকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।শহিদ কাজীর লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।