আসামীরা হলেন- উপজেলার দিগং গ্রামের মৃত আফিল উদ্দীন ঢালীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৫), লোহাকুড়া গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে বাবু(২৭) হামিদপুর পরানপুর গ্রামের মোশারফ শেখের ছেলে নাইস শেখ (২৮), দিগং গ্রামের আলাল ঢালীর ছেলে মন্টু ঢালী(৩২), আলাইপুর গ্রামের আবুল ফজর মেম্বরের ছেলে সাগর হোসেন (২২) একই গ্রামের মৃত শেখ শাহীনের ছেলে পলাশ (২৭) এবং রিজু (২৮) পিতা অজ্ঞাত। তবে এদের মধ্যে রেজাউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে ওই আসামীরা শনিবার (১৮ মে) দুপুরে কলারোয়া হাসপাতালের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম তুষারের ওপর হামলা করে ধারালো দায়ের কোপে তাঁর চারটি আঙুল কেটে নেয় তারা।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মামলা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতার চার আঙুল কাটার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮মে) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জিএম তুষারের ওপর হামলা করে ধারালো দায়ের কোপে তাঁর চারটি আঙুল কেটে ফেলার ঘৃণিত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি শেখ সাগর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আংশিক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাবু, মন্টু ও ইমাম নামের ছাত্রলীগের তিন কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দুই মাস আগে শেখ সাগর হোসেনকে সভাপতি, মেহেদি হাসান নাইসকে সাধারণ সম্পাদক ও শামীমুজ্জামান টিপুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে তিন সদস্যের কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই কমিটি বিলুপ্ত করা হলো বলে জানান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম।