ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে ‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশু প্রোগ্রামারা’ শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। আগামী ২২মে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় আসর।
সরকারের আইসিটি ডিভিশন ও তারুণ্যের প্লাটফর্ম ‘ইয়াং বাংলা’র আয়োজনে এবার দেশের ৬৪ জেলায় ২০০টি ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবকে’কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা হবে। আগামী আগামী ২২ ও ২৩ মে, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার পর জেলার নির্বাচিত ল্যাবগুলোতে চলবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলাভিত্তিক ল্যাবের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, শেরপুরের দুটি ভেন্যু তথা শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে চলবে এ জেলার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা। গাইবান্ধা, রংপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে তিনটি ভেন্যু এবং নাটোরের ৪টি ভেনুতে হবে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জেলা ক্যাম্পিং।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের ৪টি, বাগেরহাটে ৫টি, সাতক্ষীরা, ঠাকুরগাও, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাটে ৩টি, খুলনায় ৫টি, নীলফামারী, নওগা ও জয়পুরহাটে তিনটি, শরীয়তপুরে ২টি ল্যাবে চলবে এ প্রতিযোগিতা।
সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, ফেনী, মুন্সীগঞ্জ, নড়াইল, খাগড়াছড়ি, মেহেরপুর, বান্দরবান, কুমিল্লা ও ঝিনাইদহে তিনটি শেখ রাসের ডিজিটাল ল্যাবে চলবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা।
এছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জ, মাদারীপুর, ঝালকাঠি ও নারায়ণগঞ্জে ৩টি, ঢাকায় ৮টি, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পিরোজপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জে তিনটি ভেন্যুতে চলবে এ প্রতিযোতিা।
একইসঙ্গে, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও রাজবাড়ীতে ৩টি, চাদপুরে ৪টি, পাবনা, বগুড়া, নেত্রকোনা ও নোয়াখালীর ৩টি এবং লক্ষ্মীপুর ও কিশোরগঞ্জের ২টি ল্যাবে চলবে প্রতিযোগিতার জেলা ক্যাম্পিং।
> নির্বাচিত ভেুন্য তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
এদিকে, আগামী ২২ ও ২৩ মে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরপর মূল প্রতিযোগিতা শুরু হলেও শিক্ষার্থী এখনই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ২৬ মে পযন্ত চলবে অনলাইনে নিবন্ধন।
নিবন্ধনের জন্য শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ঠিকানায় লগইন করে সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণের অনুরোধ করেছেন আয়োজকরা। অনলাইনে নিবন্ধনের ঠিকানা- http://tiny.cc/nctpc19 । এছাড়া, অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়েও সবধরনের তথ্যসেবা নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
রোড টু ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রামিং ক্যাম্প’
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২০০টি ল্যাবে শুরু হবে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ। প্রত্যেকটি ল্যাবে ওই অঞ্চলের সবকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রতিটি ল্যাবে গড়ে ৭৫জন করে দেশব্যাপী প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আইসিটি শিক্ষক এবং ল্যাব প্রশিক্ষক তার ল্যাবের সেরা প্রতিযোগীদের বাছাই করবেন। প্রতি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচের জন্য ৩জন করে টিম গঠন করা হবে, ৫টি টিমে মোট ১৫জন শিক্ষার্থী প্রতিটি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। পাইথনের জন্য প্রতিটি ল্যাব থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী এককভাবে অংশ নেবে। প্রাথমিক ভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ।
জেলা পর্যায়ের স্ক্র্যাচ ও পাইথন এই দুই বিভাগে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্ক্র্যাচ’ এবং ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পাইথন’ রাখা হয়েছে।এছাড়া এবার সদ্য এসএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবে জানিয়েছে আয়োজকসূত্র।
জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রতি জেলা থেকে বিজয়ী স্ক্র্যাচ টিম এবং বিজয়ী পাইথন প্রতিযোগীরা জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা টিম। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
সূত্র : সময় নিউজ