প্রত্যাশিত জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ডাবলিনের ম্যালাহাইডে উইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে টিম টাইগার্স। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান করে জেসন হোল্ডারের দল। জবাবে সৌম্য-মুশফিকের ফিফটিতে সহজেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ফলে এক ম্যাচ আগেই ফাইনালের মঞ্চে মাশরাফীর দল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
শেই হোপের দেখানো পথে গেলো ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সুনীল আমব্রিস। আগ্রাসী সূচনায় দারুণ সূচনার ইঙ্গিত দেয় উইন্ডিজ। সাইফুদ্দিনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আবু জায়েদ রাহী অভিষেকে বিশেষ কিছু করতে পারেন নি। তাই প্রথম ব্রেক থ্রু’র জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়েছে মাশরাফীর দিকেই।
টানা ৪র্থ ম্যাচে ব্যর্থ ড্যারেন ব্রাভো। ফিরেছেন ৫ রানে। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি রোস্টন চেস ও জনাথান কার্টাররা। দলীয় ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ক্যারিবীয়রা।
আবারো উইন্ডিজের ত্রানকর্তা শেই হোপ। ৫ম উইকেটে হোল্ডারের সঙ্গে তার ১০০ রানের জুটিতে বিপদ সামাল দেয় উইন্ডিজ।
ভয়ংকর হয়ে উঠছিলো এই জুটি। সাকিবের কিটপ্টে বোলিং চাপ তৈরী করলেও, উইকেট তুলতে পারছিলো না বাংলাদেশ। গেলো ম্যাচের মত এদিনও মোক্ষম সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফী। শেই হোপ ফিরে যান ৮৭ রানে। দু’ভারের মধ্যেই অধিনায়ক হোল্ডারও আউট হন ৬২ রানে।
আগের ম্যাচে উইন্ডিজের ২৬১ রান হেসে খেলেই টপকে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্য’র ওপেনিং জুটিতে টাইগারদের শুরুটা হয় ভালো। বেশ আগ্রাসী ভাবে খেলেন আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া সৌম্য। তবে উদ্বোধনী জুটিটা বড় করতে পারেনি টাইগাররা। অ্যাশলি নার্সের বলে ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন তামিম।
আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। ২০১৭ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজের পর টানা দুই ফিফটি পেলেন এই ওপেনার। সাকিবের সঙ্গে সৌম্য’র দ্বিতীয় উইকেট থেকে আসে ৫২ রান। তবে ১ রানের ব্যবধানে সাকিব-সৌম্য’কে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় উইন্ডিজ।