হঠাৎ করেই কমানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মোট ৩৫৯ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু এখন তা ১০০ জন কমিয়ে বলা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা প্রায় ২৫৩ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এর আগে নিহতের সংখ্যা গণনায় তথ্যের ভুল ছিল। হাসপাতালের মর্গ থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনে।
দেশটির স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামলার পর শরীরের অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। আর এ জন্যই নিহতের সঠিক সংখ্যা জানানো অনেক কঠিন ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সব মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। পরে জানা যায়, অনেক মরদেহ একাধিকবার গণনা করা হয়েছিল।
গত রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ৩৫৯ জন বলে প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক নিহতের কথাও বলা হয়।
এদিকে, নয়জন বোমারু এই হামলা চালিয়েছে বলে জানায় শ্রীলঙ্কার সরকার। এখন পর্যন্ত এ হামলায় জড়িত সন্দেহে ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির পুলিশ।
হামলায় স্থানীয় মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাতকে (এনটিজে) দায়ী করছে দেশটির সরকার। এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলায় জড়িত সাতজনের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। তবে এর কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ‘বড়সড় গোয়েন্দা ব্যর্থতার’ কথা স্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার। তারা বলছে, এ হামলা সম্পর্কে আগেই সতর্ক করেছিল ভারত। তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর এ ঘটনায় ব্যর্থতার জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্দো ও পুলিশপ্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরারকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা।