উন্নয়নশীল দেশের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি দরকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো মূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য দক্ষ জনশক্তি দরকার আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে সবাইকে। আমরা যে অর্জনটুকু করেছি সেখান থেকে যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ি। করোনাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একযোগে দেশের সব বোর্ডের এসএসসির সমন্বিত ফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। সংক্ষিপ্ত এ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য এখন মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা, যাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়লেও বিএনপির শাসনামলে সেই হার কেন কমে গিয়েছিল সেই প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে এ বছর বিলম্বে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও ফল প্রকাশ করা হলো সময়মতোই। রীতি অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সমন্বিত ফল সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা। এরপর একে একে শিক্ষা বোর্ডের প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ বোর্ডের ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল বেলা ১২টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলাফল থেকে জানা যায়, এ বছর মোট পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৫৮ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯০.০৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৬ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২.২২ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর / মাহমুদা ইয়াসমিন